সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকে সারাদেশে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসাররাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই কথা জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের (প্রেষণ-২ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব জেতি প্রুর সই করা প্রজ্ঞাপনে সশস্ত্র বাহিনীর (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার) কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদেরও এ ক্ষমতা প্রদান করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এ ক্ষমতা পাবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এতে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে সারাদেশে সেনাবাহিনীকে দুই মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়। এবার তিন বাহিনীকেই এই ক্ষমতা দেওয়া হলো।
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করছে। এবার সশস্ত্র বাহিনীর বাকি দুটি নৌ ও সেনাবাহিনীও একই ক্ষমতা পেল। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।